মুস্তাফিজের ৫ উইকেটের পরেও কুমিল্লার জয়

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এদিন এই পেসার ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। এরপর ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বৃষ্টি আইনে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের তুলোধোনা শুরু করেন ইমরুল ও লিটন। লিটন কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করলেও ইমরুল ছিলেন বেশ সাবলীল। মাত্র ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ইমরুল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন রানে। লিটন চট্টগ্রামের স্পিনার নাসুমকে মিড অনের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন।

শেষদিকে ৫৩ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক আকবর আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর ফাফ ডু প্লেসিকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ইমরুল। ডু প্লেসিকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটই ছোঁয়াতে হয়নি। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেছেন ইমরুল।

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ এগোচ্ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যদিও বৃষ্টি বাধায় ১২.৫ ওভারের সময় বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। এরপর দুই দলের ইনিংস থেকেই ২ ওভার কেটে নেয়া হয়। নির্ধারিত ১৮ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস থামে ১৩৮ রানে।

যদিও শুরুতেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন চট্টগ্রামের বিদেশি ওপেনার উইল জ্যাকস। তিনি ৩৭ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। যদিও শুরুতেই তারা হারায় ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটনকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন আফিফ ও জ্যাকস।

মাঝে ২১ বলে ২৭ রান করে আউট হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। শেষদিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ২২ বলে ২৬ রান করে চট্টগ্রামের রানের চাকা সচল রাখেন। যদিও বাকি ব্যাটাররা দাঁড়াতে না পারলে চট্টগ্রামের ইনিংস থামে ১৩৮ রানে। যদিও বৃষ্টি আইনে কুমিল্লার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৫ রানের।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.