সংকট উত্তরণে ব্যবসায়ীদের আরও জোরালো ভূমিকা দরকার: শিল্পমন্ত্রী

জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার পেল ২৬ প্রতিষ্ঠান

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, দেশের অর্থনীতিতে ব্যবসায়ীদের অনেক অবদান রয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে ব্যবসায়ীদের আরো জোরালো ভূমিকা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি আপনাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

রোববার (২৯ মে) জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনে (এনপিও) পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

দেশে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কার পেল ২৬ প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের জন্য পাঁচ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এর বাইরে একটি ব্যবসায়িক সংগঠনকে দেয়া হয়েছে ‘ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড’।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ট্রফি ও সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, এখানে যারা আছেন তাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিতে ও অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যাপারে আপনাদের বিশাল অবদান। বাঙালি সাহসী জাতি। তারা সব জায়গায় সাহসিকতার প্রমাণ দিয়ে থাকে। আর এর প্রমাণ আজকে উপস্থিত এখানের সকল ব্যবসায়ীরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সারাবিশ্বেই পড়েছে। তারপরও আমাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে। যা আমাদের জন্য অনেক বড় গর্বের বিষয়।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের আইকনিক ব্যক্তিত্ব। দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান অনেক। গ্লোবাল ইকোনমিতে দেশের ব্যবসায়ীদের রিকমেন্ডেশন দরকার। আমাদের কোথায় কাজ করতে হবে তা আপনারা ধরিয়ে দিবেন। এক সময় আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতাম কিন্তু এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে আমরা অবস্থান করছি। তাই সবাইকে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।

যেসব প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেল:

বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে খাদ্য শিল্প খাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে কোকাকোলার কোমল পানীয় বাজারজাতকারী কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস। দ্বিতীয় হয়েছে প্রাণ গ্রুপের হবিগঞ্জ এগ্রো। একই ক্যাটাগরিতে ইস্পাত ও প্রকৌশল খাতে ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স প্রথম, শেলটেক দ্বিতীয় ও রানার অটোমোবাইলস তৃতীয় হয়েছে।

টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে প্রথম হয়েছে এনভয় টেক্সটাইল। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এম এম ইস্পাহানির পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস। তৃতীয় হয়েছে করণী নিট কম্পোজিট।

বৃহৎ শিল্পের সেবা খাতে প্রথম হয়েছে নিটল ইন্স্যুরেন্স। আর মীর টেলিকম দ্বিতীয় ও ডিজিকন টেকনোলজিস তৃতীয় হয়েছে। আইটি খাতে একমাত্র সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেডকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

কেমিক্যাল খাতে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস প্রথম, কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) দ্বিতীয় এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।

মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ইস্পাত ও প্রকৌশল খাতে প্রথম হয়েছে প্রাণ গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান সিলভান টেকনোলজিস। টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে মাসকোটেক্স প্রথম ও ইনডেক্স এক্সেসরিজ দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে।

আইটি খাতে একমাত্র মিলেনিয়াম ইনফরমেশন সল্যুশনকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কেমিক্যাল খাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে বিআরবি পলিমার। আর দ্বিতীয় হয়েছে জিএমই এগ্রো।

ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আহমেদ ফুড প্রোডাক্টস। তোহফা এন্টারপ্রাইজ পেয়েছে দ্বিতীয় পুরস্কার। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে জারমার্টজ।

মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে সুপার স্টার ইলেক্ট্রনিক্স পুরস্কার পেয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে ইস্টার্ন টিউবসকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

আর ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড দেয়া হিয়েছে ঢাকা উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে।

অর্থসূচক/এমআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.