পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি ভালোবাসা সার্বজনীন। একে অন্যের জন্য অদৃশ্য এক সুতোর টান অনুভব করে শুধু ভালোবাসার জন্যই। তবে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী হতে পারে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা লাভ হরমোন আবিষ্কার করেছিলেন ।এতদিন তাদের ধারণা ছিল, এটা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি শুধু আকর্ষণ করার পাশাপাশি হিংসা-বিদ্বেষেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্ত সম্প্রতি এক গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, লাভ হরমোন নামে পরিচিত এই অক্সিটকসিন হরমোন অটিস্টিক শিশুদের মস্তিস্কের কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন এনে তাদেরকে আরও অধিক সামাজিক করে গডে তোলে। খবর বিবিসি।
অটিস্টিক শিশুদের ব্রেইন স্ক্যান করে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গবেষকরা এই সফলতার কথা জানিয়েছেন। তবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই গবেষণার প্রয়োগ এখনও শুরুর পর্যায়ে রয়েছে বলে মনে করেন ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি।
গবেষণায় জানা গেছে, এ ধরনের হরমোন জম্মগত ভাবেই অনেক অটিস্টিক শিশুর মধ্য নিহিত থাকে আবার অনেক সময় জম্মের পরই আপনাআপনি তৈরি হয় এবং শিশুর বেড়ে উঠার সাথে সাথে এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
৮ থেকে ১৬ বছর বয়সী ১৭ জন অটিস্টিক শিশুদেরকে দু্ইভাগে ভাগ করে তাদের একভাগকে অক্সিটকসিন দেওয়া হয় । অন্যদেরকে কোনো হরমোন দেওয়া হয় নি । কয়েকদিন পর দেখা যায়, যাদের এই হরমোন দেওয়া হয় তাদের মধ্যে সামাজিক মনোভাব পরিলক্ষিত হয় ।
গবেষক প্রফেসর কেভিন পেলফেরি বিবিসিকে জানিয়েছেন, ১৭ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়ে আমরা যে ফলাফল পেয়েছি এটা আমাদের জন্য খুশির খবর । তিনি জানান, অক্সিটসিন এর অনেক বিতর্ক থাকলেও আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, এই লাভ হরমোন অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে সামাজিক মনোভাব বৃদ্ধি এবং অসমাজিক মনোভাব কমে আনতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে ।
এসআর/টিআর