বিশ্বাস করুন আর না ই করুন সবজি ও ফলে কীটনাশকের উপস্হিতি থাকছেই। উৎপাদনের সময় এবং এর পরবর্তী ধাপে সবজি এবং ফলে কিছুটা কীটনাশক থেকে যায়। সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রণমেন্টের (সিএসই) মতে, কীটনাশক অবশিষ্টাংশের উচ্চ মাত্রা দীর্ঘমেয়াদী ক্যান্সার, স্নায়বিক বৈকল্য, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস এবং ইমিউন সিস্টেমের তীব্র ভাঙ্গন ধরাতে পারে। ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়। কীটনাশকযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। গর্ভবতী মেয়েদের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা, বাচ্চার জন্মগত দোষত্রুটি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে।
সবজি ও ফলকে কিছুটা কীটনাশক মুক্ত করা যায় কিভাবে তা জানাচ্ছে অর্থসূচক-
ভালোভাবে ধুয়ে নিন:

খাওয়া এবং রান্নার আগে সবজি ও ফল পানিতে ১ ঘন্টা বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি সময় ডুবিয়ে রাখুন। পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা পানিতে তা আবার ধুয়ে নিন। এতে ফল এবং সবজির শতকরা ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ চলে যায়। টমেটো, বেগুন এবং ঢেঁড়শের মতো সবজি এবং আঙ্গুর, আপেল, পেয়ারা, বরই, আম, আপেল ও নাশপাতির মতো ফলের কীটনাশক এই প্রক্রিয়ায় দূর করা সম্ভব।
ভিনেগারের মিশ্রণে ডুবিয়ে রাখুন:
৯০ শতাংশ পানি এবং১০ শতাংশ সাদা ভিনেগারে দ্রবণে ফলও সবজি ধুয়ে ফেলুন। তবে এসময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ অনেক সবজি ও ফলের ওপরের ত্বক পাতলা হওয়ায় এই দ্রবণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাবধানতা অবলম্বন করুন:
অল্প কিছুসময়ের জন্য কিছু সবজি কুসুম গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। মুরগি এবং মাংস রান্নার সময় অতিরিক্ত চর্বি ও চামড়া ফেলে দিন। এসব অংশে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
ইউএম/
অন্যান্য
এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের …
বিয়ের আগে যৌন সক্ষমতা পরীক্ষার প্রস্তাব
কাজেই জেনে নিন সেরকম ৮ টি খারাপ অভ্যাসের কথা যার কারণে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে আপনার স্তনেও!…