রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনের শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন।

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংগঠনটি এই দাবি জানায়। মালিকদের অতি মুনাফা লোভী মনোভাবের কারণেই পোশাক শিল্পে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধনে রানা প্লাজার আহত শ্রমিক শহীদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার এতোদিন পরও অনেকেই ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত। প্রায় ৩ হাজার ৭শ শ্রমিকের মধ্যে ক্ষতিপূরণের জন্য মাত্র ১ হাজার ৬শ জনের মোবাইল হিসাব খোলা হয়েছে। বাকিদের হিসাব নাই কেন? তাদের কি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, এটা কেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ? এখানে শ্রমিকরা না খেয়ে মরে। রাস্তায় কিংবা লঞ্চ ডুবিতে মানুষ মরে। নায্য পাওনার জন্য আন্দোলন আর অনশন করতে হয়। এটাই যদি হয় তবে এই ডিজিটাল দেশ আমরা চাই না। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুষ্টু বিচার হয় না কেন?
গার্মেন্টস দর্জি শ্রমিক কেন্দ্রের সভাপতি সাহিদা সরকার বলেন, ক্ষতিপূরণ দিতে সব ক্ষতিগ্রস্তদের মোবাইল হিসাব খুলতে হবে। শ্রমিকদের নায্য পাওনা পরিশোধ করা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার আদায় করবেন শ্রমিকরা।
বক্তারা বলেন, রানা প্লাজা-তাজরীন ফ্যাশন ও পাকিস্তানের আলী এন্টারপাইজের নিহত ও আহত শ্রমিকদের প্রকৃত ক্ষতিপূরণ এখনও দেওয়া হয়নি। শিগগির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে তোবা গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে।
শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন বাস্তবায়ন করার দাবিও জানান তারা।
শ্রমিক নেতা তপন সাহার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনে শ্রমিকরাসহ সংগঠনটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসইউএম/এমই/