
জুলাই মাসে ইউক্রেনের আকাশে মালয়েশিয়ান বিমান এমএইচ-১৭ বিধ্বস্ত হওয়ার আগে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে অনেকগুলো বস্তু তাকে আঘাত করেছিল।
বিমানটি কী করে বিধ্বস্ত হয়েছিল তার প্রাথমিক তদন্তে এ তথ্য জানিয়েছে নেদারল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ। তদন্ত রিপোর্ট মঙ্গলবারই প্রকাশ করেছে তারা।
প্রসঙ্গত, ২৯৮ আরোহী নিয়ে গত জুলাই মাসে ইউক্রেনের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ভুপাতিত হয়ে বিধ্বস্ত হয় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি। এতে আরোহীদের সবাই মারা যান।
বিশেষজ্ঞরা বিমানের ব্ল্যাক বক্স, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য, এবং বিমানটি যে জায়গা জুড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে তোলা ছবি থেকে এই প্রাথমিক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তবে যুদ্ধের কারণে বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে যেতে পারেন নি।
এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে ডাচ ওই প্রতিবেদনে সরাসরি কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বলা হয়নি।
ডাচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসংখ্য বস্তুর প্রচণ্ড আঘাতে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটি মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ে।
ডাচ সেফটি বোর্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমএইচ ১৭ ধসে পড়ার পেছনে মনুষ্য বা যান্ত্রিক ত্রুটির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি ভূপাতিত হওয়ার ধারণার সঙ্গে এই প্রতিবেদনের সামঞ্জস্য রয়েছে।
বিমানটিকে যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মাটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে- রিপোর্টে এধরনের কোন কথা বলা হয়নি। তবে ভূপাতিত হওয়ার জন্যে সম্ভাব্য অন্যান্য কারণকেও মোটামুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, উড্ডয়নের সময় জরুরি কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি, যান্ত্রিক সমস্যা ছিল না, এমনকি পাইলটও কোনো ভুল করেনি। তবে বলা হয়েছে, তীব্র গতিতে ছুটে আসা অসংখ্য বস্তুর আঘাতের কথা, যার সাথে ক্ষেপণাস্ত্রের মিল রয়েছে।
তবে এসব থেকেও কিন্তু জরুরি একটি প্রশ্নের জবাব মেলেনি- আর সেটি হচ্ছে এই ক্ষেপণাস্ত্র তাহলে কে ছুঁড়েছিল?
এস রহমান/