
জেনিফার লরেন্সসহ ১০০ তারকার ফাঁস হয়ে যাওয়া নগ্ন ছবি অনলাইনে ম্যালওয়্যার ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের প্রধান ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্পার্ক এ ধরনের এক বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের বরাত দিয়ে এক খবরে বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, গ্রাহকরা তারকাদের নগ্ন ছবির লিংকে ক্লিক করার কারণে স্পার্কের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছিল।
নিউজিল্যান্ডের এ কোম্পানির প্রায় ৬ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছে। এ বিপত্তির পর স্পার্কের গ্রাহকরা প্রায় ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
গ্রাহকরা জানান, নগ্ন ছবির লিংকে ক্লিক করার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ম্যালওয়্যার (ক্ষতিকর সফটওয়্যার) লোড হওয়া শুরু করে। এর পরপরই ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ড মাইক্রোও তারকারদের ছবি ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, টুইটারে জেনিফার লরেন্সের নামের একটি হ্যাশট্যাগে এ ধরনের লিংক খুঁজেন পাওয়া গেছে, যেটিতে ক্লিক করলেই ম্যালওয়্যার লোড হয়।
তবে তারকাদের নগ্ন ছবি সংশ্লিষ্ট ম্যালওয়্যারের কারণে ইন্টারনেট সুবিধায় বিঘ্ন ঘটেছে কিনা নিশ্চিত নয় স্পার্ক কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিটি গ্রাহকদের অপরিচিত ঠিকানা থেকে আগত ইমেইল এবং অনাকাঙ্ক্ষিত লিংকে ক্লিক না করার পরামর্শ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি ওয়েব সাইটে বিশ্বের ১০০ নামী-দামী তারকার নগ্ন ছবি সংগ্রহের খবর ফাঁস করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার শিকার তারকাদের তালিকায় কেট উপটান ছাড়াও আছেন আরিয়ানা গ্রান্ডে ও জেনিফার লরেন্সের মতো অস্কারজয়ী তারকারা। আরও আছেন পপগায়িকা রিয়ানা, সেলেনা গোমেজ, অ্যাভ্রিল লেভিন, কারা ডেভেভিংনে, অভিনেত্রী কেট বোসওর্থ, হিলারি ডাফ, অ্যাম্বার হার্ড, জেনি ম্যাককার্থি, হোপ সলো, রিয়েলিটি টিভি তারকা কিম কার্দাশিয়ান, মডেল-অভিনেত্রী কেলি ব্রুকের মতো ২০ জনের বেশি তারকা।