তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

শীত এখনও হাড় না কাঁপালেও ধীরে ধীরে জেঁকে বসছে। ইতোমধ্যেই পঞ্চগড় জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আজ (১৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এটি এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ ছাড়া গত ১৮ দিনের মধ্যে ১৫ দিনই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৭.৮, ২ নভেম্বর ১৬.৫, ৩ নভেম্বর ১৫.৮, ৪ নভেম্বর ১৫.৫, ৫ নভেম্বর ১৫, ৬ নভেম্বর ১৪.৪, ৭ নভেম্বর ১৪.৬, ৮ নভেম্বর ১৪.৫, ৯ নভেম্বর ১৩.৫, ১০ নভেম্বর ১৩.৮, ১১ নভেম্বর ১৩.৮, ১২ নভেম্বর ১৪.১, ১৩ নভেম্বর ১৩.৪, ১৪ নভেম্বর ১৩.৪, ১৫ নভেম্বর ১৩.৭, ১৬ নভেম্বর ১৩.৭ ও ১৭ নভেম্বর ১৪.১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিকাল থেকে চারদিক কুয়াশায় আচ্ছাদিত হচ্ছে পড়ছে। রাতে ঝরছে ঘন কুয়াশা। সকাল ৭/৮টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তেজও বাড়ছে। শীতবস্ত্র কিনতে মানুষ দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। অসহায় দরিদ্ররা সরকারি-বেসরকারি ত্রাণের আশায় রয়েছেন। ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক বানানোর কারিগররা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান রোকন জানান, তীব্র ঘন কুয়াশা ও উত্তর থেকে ধেয়ে আসা সাইবেরিয়ান হিমেল হাওয়া এখনও দেখা যায়নি। তবে ক্রমশ তাপমাত্রা কমছে। নভেম্বরের ১৮ দিনের মধ্যে ১৫ দিনই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। তবে চলতি মাসের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, জেলায় পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র মজুত রয়েছে। শীত মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২৬ হাজার কম্বল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে শীতবস্ত্র কেনার জন্য পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.