ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৮.৫৮%

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। টাকার অংকে লেনদেন কিছুটা কমলেও দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৮.৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে ডিএসইতে আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় ৫৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে।

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে ৪ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ কর্মদিবস। এই হিসাবে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫০৪ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ২৩০ টাকার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে ৪৬৪ কোটি ৯২ লাখ ৭০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮.৫৮ শতাংশ।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ১৯ কোটি ২২ লাখ ৯২২  টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩২৪ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার  টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩০৫ কোটি ৪১ লাখ ৫২ হাজার টাকার বা ১৩.১৪ শতাংশ লেনদেন কমেছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৫ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০৫ শতাংশ বেড়েছে।

আলোচিত সপ্তাহে বাজারমূলধনে শীর্ষ  কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৬ দশমিক ৮২ পয়েন্টে উন্নীত হয়।

অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক বেড়েছে ১১.৪২ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৫ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৭৫ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২১৭টির, কমেছে ৯০টির। আর ৬০টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

গত সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন থাকলেও বাজার মূলধন বেড়েছে পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ১২ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ৩ হাজার ৫১৪ কোটি ৪০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

অর্থসূচক/এসএ/

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.