প্রথম দিনেই বিক্রেতাশূন্য বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ার

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রথম দিনেই বিপুলসংখ্যক ক্রেতার চাপে বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ার। আজ মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) অভিজাত হোটেল লো মেরিডিয়ানের মালিকানায় থাকা এ কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের শুরুতেই এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। লেনদেন শুরুর প্রথম দিনেই বিনিয়োগকারীদের বেশ আগ্রহ দেখা যায় কোম্পানিটির শেয়ারে। এসময় বিপুলসংখ্যক ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা ছিলেন হাতে গোনা। ফলে এদিন খুব বেশি শেয়ারের হাতবদল হয়নি কোম্পানিটির শেয়ারের।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বিরতিহীন সাড়ে চার ঘণ্টার লেনদেনে মাত্র ৯৫৮টি শেয়ারের হাতবদল হয়। এসব শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৬ টাকা ৪০ পয়সায়। নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। সেই হিসাবে কোম্পানিটির আইপিওর ২৪ টাকা দামের শেয়ার লেনদেনের শুরুতেই ১০ শতাংশ বেড়ে যায়।

এদিকে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে ‘এন’ শ্রেণিভুক্ত হয়ে আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ার কিনতে প্রথম এক মাস কোনো ধরনের ঋণের সুবিধা পাবেন না বিনিয়োগকারীরা। তা সত্ত্বেও সকালে লেনদেন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নগদ টাকায় কোম্পানিটির দুই কোটির বেশি শেয়ারের ক্রয়াদেশ ছিল।

নিয়ম অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আইপিওতে পাওয়া শেয়ার বিনিয়োগকারীরা বিক্রি না করলে ওই শেয়ারের আর কোনো বিক্রেতা থাকেন না। ফলে ক্রেতারা কিনতে চেয়েও এ শেয়ার কিনতে পারেন না। এর ফলে দেখা যায়, নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে শুরুর বেশ কিছুদিন আইপিও শেয়ারের কোনো বিক্রেতা থাকেন না। তাতে প্রতিদিনই এ শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। দাম বাড়তে বাড়তে একটি পর্যায়ে পৌঁছানোর পর আইপিও শেয়ারধারীরা তাঁদের শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন। তখন সেকেন্ডারি বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের হাতবদল বাড়তে থাকে, দামও একটি পর্যায়ে গিয়ে স্বাভাবিক হয়। বেস্ট হোল্ডিংসের ক্ষেত্রেও তা–ই দেখা যাচ্ছে। বিক্রেতা না থাকায় প্রথম দিনেই এটির শেয়ারের সর্বোচ্চ ২ টাকা ৪০ পয়সা দাম বেড়েছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী,  দেশে বসবাসকারী যেসব বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির আইপিও শেয়ারের জন্য ১০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন, তাঁরা পেয়েছেন ৮৬টি করে শেয়ার। আর প্রবাসী বাংলাদেশি আবেদনকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার আবেদনের বিপরীতে পেয়েছেন ১০১টি করে শেয়ার।

 

অর্থসূচক/এমআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.