আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা

বিশ্ব ইজতেমা

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। মোনাজাতে অংশ নিতে লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমাস্থলে নানানভাবে উপস্থিত হন। মোনাজাতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়েছে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ মোনাজাত শুরু হয়ে ১০টা ২৫ মিনিটে শেষ হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের কাকরাইলের শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের। ইজতেমায় মূল বয়ান উর্দুতে হলেও অংশ নেওয়া বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদুল হক, ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা।

এদিকে আখেরি মুনাজাতে শরিক হতে শনিবার রাত থেকে মুসল্লিগণ বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, ট্রেন ও ট্রলারে করে টঙ্গীতে আসতে শুরু করেছেন। রোববার সকাল থেকে টঙ্গী-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে মোনাজাতে শরিক হতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ পায়ে হেঁটে ইজতেমার মায়দানে আসেন।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে শনিবার অর্থাৎ মোনাজাতের আগের দিন রাত ১০টা থেকে পরের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকাগামী সব পণ্য পরিবহন করে- এমন যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে ট্রাক ও পণ্যবাহী গাড়ি যেগুলো যাত্রী পরিবহন বা মুসল্লি যাত্রী নেবে না সেগুলো ভোগড়া বাইপাস থেকে টঙ্গীর দিকে যেতে পারবে না। যাত্রী পরিবহন গাড়ি ও মুসল্লি পরিবহন যান ওই সড়কে ব্যবহার করতে পারবে। তবে সেটা সীমিত পরিসরে।

তিনি আরও বলেন, যে সব মুসল্লিবাহী গাড়ি দেশের বিভিন্নস্থান থেকে এসেছে তাদের ইজতেমা মাঠ থেকে সুন্দরভাবে যানজট মুক্তভাবে বের করতে ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকা বাইপাসের গাড়ি ডাইভারসন করা হবে, মীরের বাজার থেকে উলুখোলা-তিনশ ফিটের দিকে ঢাকার গাড়ি ডাইভারসন করব। কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল রোডে গাড়ি ডাইভার্ট করা হবে। এ ছাড়াও কামারপাড়া রোড থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকায় গাড়ি চলবে। তবে সীমিত পরিসরে।

প্রথম পর্বের ইজতেমায় এসে সাত মুসল্লির মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এবারের ইজতেমায় যৌতুকবিহীন শতাধিক বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইজতেমা আয়োজক কমিটি গতকাল শনিবার (১৪ জানুয়ারি) আসরের পর এই গণবিয়ের আয়োজন করে। বিয়ে পরিচালনা করেন মাওলানা জোহায়েরুল হাসান। তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার দ্বিতীয় দিন বাদ আসর বয়ান মঞ্চের পাশে বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর। কনের সম্মতিতে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে ওই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি। মাওলানা সাদ কান্ধালভীর অনুসারীরা দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এ বছরের জন্য বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.