‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবীর বলেন, যে কোনো সংকটের সময় অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। দেশের স্বার্থে এগুলো প্রতিরোধের জন্য যার যার অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১৮ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর ‘বাংলাদেশে অর্থ-পাচার ও সন্ত্রাসীকার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমের ২০ বছর’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

হেড হেড অফ বিএফআইইউ মো. মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ এবং এসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)’র চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন। সেমিনারে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন।

আগামী ৩ জুলাই গভর্নর ফজলে কবীরের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। তাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সবাই গভর্নরকে বিদায়ী শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আগামীতে এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সবাইকে সব কাজে কমপ্লায়েন্স থাকতে হবে।

তিনি বলেন , এ বিষয়ে বিএফআইইউ শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে হবে।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সততা ও নিষ্ঠার সাথে যার যার দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান তিনি।

গভর্নর বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা এবং ডলারের বিনিময় হার আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

রিজার্ভ কিছুটা কমে আসলেও ভয়ের কোন কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ এখন ৪১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আগে আরও বেশি ছিল কিন্তু এটা কমে এসেছে। এটা ভয়ের কোনো বিষয় না।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত আমরা ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার মানি মার্কেট থেকে কিনেছি। কিন্তু বর্তমানে সরকারের খাদ্য, জালানি, বিদুৎ, সার এসব জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। এতে রিজার্ভ কিছুটা কমে গেছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রতি মাসে সর্বোচ্চ আমদানি ব্যয় সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার। এই হিসাবে, ৩ মাসের আমদানি ব্যয় বাবদ ব্যয় হবে সাড়ে ২২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ। এর সাথে জরুরি খাদ্য নিরাপত্তাসহ আরো কিছু আমদানির ব্যয় হবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে ২৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। যদিও এখন তার চেয়ে অনেক বেশি আছে।

গভর্নর বলেন, আমরা এখনো রিজার্ভে অনেক সারপ্লাস আছি৷ কিন্তু এই রিজার্ভ নিয়ে আত্নতুষ্ট হলে চলবে না। এদিকে আমাদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.