মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মামলায় জামালপুরের শামসুল হকের আমৃত্যু কারাদণ্ডেরর সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগ এ মামলার চুড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৭ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছিলেন। পরে রায়ের তারিখ পিছিয়ে যায়। এর আগে ১২ জুলাই তার আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছিল। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। শামসুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও এহসান এ সিদ্দিক।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে এক মাসের মধ্যে আপিল করেন শামসুল আলম।
আসামিদের মধ্যে আশরাফ হোসেন, আব্দুল মান্নান ও আব্দুল বারীকে মৃত্যুদণ্ড, শরীফ হোসেন, আবুল হাশেম, অ্যাডভোকেট শামসুল আলম, এস এম ইউসুফ আলী এবং মো. হারুনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। শামসুল আলম ও ইউসুফ আলী ছাড়া বাকিরা পলাতক।
আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট ও মরদেহ গুমের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ ও ৫ নম্বর বাদে বাকি তিনটি প্রমাণিত হওয়ায় এ সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.