পাকিস্তানের লক্ষ্য ২০২

৪৪ রানের লিড পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতেই মাঠে নিমেছিল বাংলাদেশ দল। ৩৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারানোর পর গত দিনেই অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং ইয়াসির আলি রাব্বি। তাদের কাছে প্রত্যাশা ছিল সকলের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেবেন।

কিন্তু রাব্বির ইনজুরি, মুশফিকের ব্যর্থ হওয়া কিংবা বদলি ব্যাটার সোহানের অহেতুক শট তা হতে দিলো না। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট মাত্র ১৫৭ রানে। পাকিস্তানের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেচেন শাহীন আফ্রিদি। প্রথম টেস্টে জিততে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের প্রয়োজন ২০২ রান।

দিনের খেলার শুরুতে প্রথম বল চার হাঁকালেও তিন নম্বর বল ছেড়ে দিতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মুশফিকুর। আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন মাত্র ১৬ রান। সেখান থেকে দলের ব্যাটিং ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইয়াসির আলি রাব্বি এবং লিটন দাস। কিন্তু পানি পানের বিরতির এক ওভার আগে শাহিন শাহ আফ্রিদির বল লাগে ইয়াসির আলির হেলমেটে। বাঁহাতি পেসার আফ্রিদির বাউন্সার রাব্বির প্রত্যাশা অনুযায়ী বাউন্স করেনি। শেষ সময়ে চোখ সরিয়ে নেওয়ায় বলের লাইন থেকেও সরে যেতে পারেননি।

বসে পড়ায় বল সোজা গিয়ে আঘাত হানে তার হেলমেটে। ফিজিও আসার পর তার সঙ্গে কথা বলে খেলা চালিয়ে যান এই মিডল অর্ডার ব‍্যাটসম‍্যান। কিন্তু পানি পানের বিরতির পর আর ব্যাটিং করতে নামেননি। রিটার্ড হার্ট হবার আগে তিনি করেছিলেন ৩৬ রান। এরপর ব্যাটিং করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাজিদ খানের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে তিনি ১১ রানে ফিরে গেলে রাব্বির কনকাশন সাব হয়ে মাঠে নামেন নুরুল হাসান সোহান। লিটন দারুণ সঙ্গ দিলেও হুট করে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন।

তার আগে অবশ্য করেছেন ১৫ রান। অপরপ্রান্তে অবিচল থেকে ব্যাটিং করতে থাকেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ন লিটন দাস। হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন, কিন্তু সেটিকে আর বড় করতে পারেননি। ৫৯ রান করে আউট হয়েছেন লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। এরপর বাকি দুই ব্যাটসম্যান শাহীনের পেসের বিপক্ষে আর ব্যাট হাতে দাড়াতে পারেননি। আফ্রিদির ৫টি ছাড়াও ৩টি উইকেট নিয়েছেন স্পিনার সাজিদ খান। আরেক পেসার হাসান আলি নিয়েচেন ২ উইকেট।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.