স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি

আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলগতভাবে বিএনপি অংশ নেবে না।

আজ রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলীয় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাম্প্রতিককালে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদে উপনির্বাচনে ও সব পৌরসভা নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে চরম ব্যর্থতা নিয়ে গত শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই চরম প্রতিকূল অবস্থায় স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নয়- এটা প্রমাণিত। অনির্বাচিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নই তাদের (ইসি) প্রধান কাজ।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজকে ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালিয়েছে। ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে সরকার মত-প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছে। অবিলম্বে এ আইন বাতিল করার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। একইসঙ্গে কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

প্রসঙ্গত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ ডাকে বিএনপি। কর্মসূচি ঘিরে রোববার সকাল ১০টা থেকে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাব এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তারা রাস্তায় নামেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশের লাঠিপেটায় একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তারপর নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। তখন তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.