‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন নির্লজ্জ যে দলের এমপিরাও বিরুদ্ধে কথা বলছেন’

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী কী নির্লজ্জ একজন ব্যক্তি যে পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে তার দলের লোকেরাই কথা বলছেন, বিরোধী দলের কয়েকজন কথা বলেছেন, সারাদেশের মানুষ কথা বলছেন, তারপরেও তিনি পদত্যাগ করছেন না।

আজ রোববার (০৪ জুলাই) ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ‘মহান স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী: গণমাধ্যমের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার চরম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এই করোনা ভাইরাসে যখন মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে, তখন দেখুন স্বাস্থ্যখাতে কেমন দুর্নীতি চলছে।

তিনি বলেন, আজকে এই জাতিকে বাঁচানোর জন্য, তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কখনোই কোনো আন্দোলন সফল হয় না যদি আমরা ত্যাগ স্বীকার না করতে পারি। আমি অনুরোধ জানাবো, তরুণদের এখনই জেগে উঠতে হবে, এই ঘোরতর অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে।

দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করার চেষ্টা চলছে- এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনকার সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমও ভালো থাকে না। সাংবাদিক আজ ভালো নেই। ৪২ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন বর্তমান সরকারের আমলে। আবুল আসাদের মতো প্রবীণ সাংবাদিককেও তারা শুধু জেলে পোরেননি, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছেন। এটা ফ্যাসিজমের নিয়ম। প্রথমে তারা রাজনীতিকদের ধরেছে, এখন সাংবাদিকসহ ভিন্নমত দমন শুরু করেছে।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশকে বলা হচ্ছে একটা হাইব্রিড রেজিমের দেশ। আমাদের এখানে সবই আছে- এখানে সরকার আছে, জাতীয় সংসদ আছে, বুরোক্রেসি আছে, কিন্তু মানুষের অধিকার নেই। বাংলাদেশের জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার, জনগণের সংসদ, জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও ব্ক্তব্য দেন- ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, বাসির জামাল, রাশেদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী প্রমুখ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.